রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সভায় মহিলা লীগ নেত্রী, বললেন ‘কখনোই আ.লীগের কর্মসূচিতে যাইনি’

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জহুরা আক্তারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি উপস্থিত হয়ে বক্তৃতাও দেন। তবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন জেলা উইমেন চেম্বারের সভাপতি হিসেবে।

উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূমকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এ সভায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। হাসনাত কাইয়ূম এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, তিনি ফাতেমা জহুরার এ পরিচয়টি জানতেন না। এর ব্যাখ্যা ফাতেমা জহুরাকে দেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

এর ব্যাখ্যায় ফাতেমা জহুরা মাইক নিয়ে বলেন, ‘আমাকে একজন আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী হিসেবে মহিলা আওয়ামী লীগের পদে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমি কখনোই সংগঠনের কোনও কর্মসূচিতে বা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যাইনি। আমাকে সংগঠন থেকে অনেকবার বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলাম। আমি মূলত জেলা উইমেন চেম্বারের সভাপতির পরিচয়টিই সর্বত্র দিয়ে থাকি। একসময় বাম রাজনীতি করতাম। এখনও সেই মানসিকতা পোষণ করি।’

ফাতেমা জহুরা একবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তখনও তিনি এফবিসিসিআই কর্মকর্তা হিসেবে গিয়েছেন বলে জবাব দেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছাত্র, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে ‘দেশ বাঁচাতে প্রয়োজন সংস্কার, সমঝোতা ও নির্বাচন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধান আলোচক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম ছাড়াও বক্তব্য দেন বাজিতপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র সরকার, ফতেমা জহুরা আক্তার, মঠখলা কলেজের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন, সংগঠনের বাজিতপুর শাখার সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন।