ঈদের দিন যুবককে গুলি করে হত্যা: অবশেষে আসামি গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পাভেল (৩০) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামি জুবায়ের আহমেদকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া জুবায়ের আহমেদ বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার জুয়েল মিয়ার ছেলে। আর নিহত পাভেল ফতুল্লার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১-এর অপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ জানান, গত ৩১ মার্চ ভোরে ফতুল্লার পঞ্চবটি-মুক্তারপুর রোডের কাশিপুর এলাকার লায়ন চক্ষু হাসপাতালের পাশে কবুতর নিয়ে তর্কের জেরে পাভেল নামের এক যুবককে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব আরও জানায়, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বটতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামি জুবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামি পাভেল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামিকে ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত সোমবার (৩১ মার্চ) ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

মাদকের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ওই যুবককে মারধর ও গুলি করা হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাভেলকে দিয়ে মাদকের ব্যবসা করাতেন ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রায়হান। সম্প্রতি মাদক বিক্রির টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে রবিবার রাতে কথা-কাটাকাটির জেরে সোমবার রাতভর পাভেলকে মারধর করে ও পরে গুলি করে ভোরে ফেলে রেখে যায়।

তবে কবুতর নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে পাভেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম। তিনি বলেন, ‘রবিবার রাতে পাভেলের সঙ্গে পাশের বাড়ির রায়হানের কবুতর নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ঈদের দিন সকালে পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান রায়হান। গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তার মৃত্যু হয়।’