নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘অযথা নির্বাচন আগে না সংস্কার আগে; নির্বাচন পরে না সংস্কার পরে- এই বিতর্কের দরকার নেই। রাষ্ট্র সংস্কার করেই নির্বাচন হবে, এটাই এই সরকারের ম্যান্ডেট। সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার কমিশনগুলোর আলাপ-আলোচনা চলবে। সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা যাবে না। সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে চলছে।’
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিঙ্গাইর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদের উপজেলা শাখা এই জনসভার আয়োজন করে।
নুরুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কীভাবে হবে, ক্ষমতার পালাবদল কীভাবে হবে, তার একটি শান্তিপূর্ণ পথ বের করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জাতীয় পরিষদ গঠনের কথা আমরা বলেছি। সেই পরিষদের সদস্য হবেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কারা আসবেন, নির্বাচন কমিশনে কে নিয়োগ পাবেন, পুলিশ প্রধান কে হবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা বলেছি জাতীয় সংসদ নির্বাচন চার বছর পর পর হোক। একই ব্যক্তি দলীয় প্রধান ও সরকার-প্রধান হতে পারে না।’
নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘রোজা মুসলমানদের আত্মশুদ্ধির মাস। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য আমরা যে সময় পাচ্ছি, তা রাজনীতিবিদদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের সময়। আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাধ্যমে সামনে আমাদের নিজেদের উপস্থাপন করতে হবে।’
সিঙ্গাইর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আলামিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, জেলা শাখার সভাপতি হাসান আলী, গাজীপুরের সাবেক আহ্বায়ক পাঠান আজাদ, যুব অধিকার পরিষদের ঢাকা উত্তরের সভাপতি গাজী রুবেল রানা, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সবুজ হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক মো. তোহা, গণ-যুবঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ।