কাপাসিয়ায় কুকুরের কামড়ে আহত ৩৭, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ভ্যাকসিন

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক ঘণ্টায় কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এসেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোধের ভ্যাকসিন না থাকায় আহত ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত উপজেলার রামপুর, ত্রিমোহনী, পেওরাইট, আনজাবো, মালোয়ারটেক এবং পিরোজপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে কুকুরের কামড়ে আহত হন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এর মধ্যে তিন জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকায় ছয় জনকে ঢাকার মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৮ জনের মধ্যে কেউ স্থানীয় ফার্মেসিতে এবং কেউ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেছেন। 

আহতরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার আনজাব গ্রামের জুয়েনা ও তার মেয়ে, একই গ্রামের মানিক মিয়া, ইউনিটি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার, একই গ্রামের সেলিম ও তার স্ত্রী, রামপুর গ্রামের মতিউর রহমান ও শহীদুল্লাহ, কবির হোসেন ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম এবং ছেলে লিমনসহ অন্তত ৩৭ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানিয়েছেন, সোমবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে অনেক আহত রোগী এসেছেন। তাদের কারও হাতে, কারও পায়ে কামড় দিয়েছে কুকুর। এমন ৩৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন বলেন, ‌আমরা রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছি। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুর দৌড়ে এসে কামড় দিচ্ছে। আজকে ভোরবেলায় আমার স্ত্রী ও সন্তানকে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, তিন বছর আগে উপজেলায় কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। আজ কুকুরের কামড়ে অনেকে আহত হওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ভেটেরিনারি সার্জন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি এলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।