গাজীপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আরেকজনকে যৌন হয়রানি: গ্রেফতার ২

গাজীপুরের দিঘিরচালা এলাকায় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে (২০) ধর্ষণের এবং পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুশিক্ষার্থীকে (৯) যৌন হয়রানির অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম (৩৫) এবং পটুয়াখালীর নৌমালা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে গাজীপুরের ঝিলিক স্টুডিওর কর্মচারী হাসান আলী (২৮)। দুটি ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন এক শিক্ষার্থী (২০)। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে কিছুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় চাকরি খুঁজছেন। গত শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের বাড়ি জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসন থানার দিঘিরচালা বাচ্চু সরকারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে নিরাপত্তাকর্মী নজরুল তার গতিরোধ করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। রবিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নজরুল দিঘিরচালা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

অপরদিকে, মাদ্রাসার কাজের প্রয়োজনে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ঝিলিক স্টুডিওতে ছবি তুলতে যায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। কিন্তু ঘণ্টাখানেক হলেও বাড়ি না ফেরায় সেখানে শিশুটিকে খুঁজতে যান তার বাবা। গিয়ে দেখেন, ভেতরে কক্ষের দরজা হালকা চাপানো। আর কেউ নেই। পরে দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে মেয়েকে যৌন হয়রানি করতে দেখেন বাবা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা যৌন হয়রানির অভিযোগে বাসন থানায় মামলা করেন। পরে হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহম্মেদ বলেন, ‌‌‘উভয় ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’