রাজবাড়ীতে ছিনতাই হওয়া ৪০০ বস্তা চিনি যশোরে উদ্ধার, গ্রেফতার ৫

রাজবাড়ী থেকে ছিনতাই হওয়া ৪০০ বস্তা চিনির ট্রাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোর কোতোয়ালী থানার কচুয়া গ্রামের মো. কুদ্দুস খানের ছেলে শামীম রেজা (৩৪), একই গ্রামের মৃত ওমর আলী খানের ছেলে নাজিম খান (৩৮), মনসেপুর গ্রামের মো. ইউনুস মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩), কেশবপুর থানার মধ্যকুল সরদারপাড়ার মো. লিয়াকত আলী সরদারের ছেলে ট্রাকচালক আবুল বাশার (৩০) ও মৃত ওয়াজেদের ছেলে মো. বাবু মিয়া (২৫)। তাদের দেওয়া তথ্যে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা, অভয়নগর থানা ও কেশবপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া ২৩৩ বস্তা চিনি উদ্ধার, বাকি চিনি বিক্রির দুই লাখ টাকা এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শামিমা পারভিন। তিনি বলেন, ‘সিলেট কোতোয়ালি থানার শেখ ঘাট কলাপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহীম ব্যাপারীর ছেলে জননী ফুড প্রোডাক্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. তানজিল ইসলাম ২৪ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে কোম্পানির খাদিম নগর বিসিক থেকে ৪০০ বস্তা চিনি ট্রাকভর্তি করে কোম্পানির শ্রমিক মো. সারোয়ার হোসেনসহ রংপুরে যাওয়ার জন্য রওনা হন। ট্রাকের চালক মো. আবুল বাশার, হেলপার মো. মাহবুবসহ গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে রাজবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। ২৬ অক্টোবর রাত ২টার দিকে খানখানাপুর বড় ব্রিজের সামনে প্রাইভেটকারযোগে এসে তিন-চার জন ব্যক্তি ট্রাক থামিয়ে দেয়। তারা ট্রাকে উঠে সারোয়ার হোসেনকে নামিয়ে দেয়। ওই সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সারোয়ারকে মারধর করে প্রাইভেটকারে তুলে হাত-পা বেঁধে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর হোসেন ফিলিং স্টেশনের পাশে ফেলে যায়। এ সুযোগে ট্রাকসহ চিনি নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় কয়েকজন। সারোয়ার ভোর ৪টার দিকে ঘটনাটি তার ভাই মোবারক হোসেনকে জানান। মোবারক কোম্পানির জিএমকে জানালে পরে পুলিশকে জানানো হয়।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর রাজবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ২৮ অক্টোবর রাতভর অভিযান চালায়। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা, অভয়নগর থানা ও কেশবপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৩৩ বস্তা চিনি উদ্ধার, বাকি চিনি বিক্রির দুই লাখ টাকা এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।