হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যৌনকর্মীর লাশ উদ্ধার, শ্বাসরোধে হত্যা বলছে পুলিশ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে সুমি আক্তার মিতা (৩১) নামে এক যৌনকর্মীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে দৌলতদিয়ার মজিদ শেখের পাড়ার ভাড়া ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমি ওই পাড়ার দবির সরদারের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকতেন। রবিবার রাতের কোনও একসময় ভাড়া করা কক্ষে তাকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে মুখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমির গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারে। তার চার বছরের এক শিশুসন্তান আছে।

পুলিশ ও পল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুমি রবিবার রাত ১১টার দিকে পাশের বাড়ির একটি পার্টিতে অংশ নেন। সেখান থেকে ফিরে রাত দেড়টার দিকে এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে নিজ ঘরে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়ির মাসি দোতলায় কাপড় শুকাতে গিয়ে দেখেন সুমির কক্ষের দরজা খোলা। খাটের ওপর ছোট গামছা দিয়ে মুখ আটকে আরেক কাপড় দিয়ে মাথার চুল পেছন থেকে বাঁধা রয়েছে। এ ছাড়া দুই হাত, দুই পা ও কাপড় দিয়ে ঘরের জানালার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে সবাইকে জানান। যৌনপল্লিতে মাঝেমধ্যে খুনের ঘটনায় আতঙ্কে আছেন তারা। 

সকালে খবর পেয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে খুনের প্রকৃত কারণ পুলিশ এখনও বের করতে পারেনি। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দৌলতদিয়ার মজিদ শেখের পাড়ার বাড়িটি দেখভাল করেন দবির সরদারের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর সরদার। তিনি বলেন, এই বাড়িতে দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন সুমি। সকালে এক ভাড়াটিয়া খুনের বিষয়টি জানালে তিনি যৌনপল্লির সুমির কক্ষটি খোলা দেখতে পান। ভেতরে মুখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান তিনি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, সুমির এক সন্তান আছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সুমিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন কী কারণে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।