‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে উঠেপড়ে লেগেছে’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর বলেছেন, ‘জাতিসংঘে ড. ইউনুস কয়েকটা দিনের জন্য গেছেন। সেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তার সঙ্গে দেখা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। আমরা যদি একত্রিত হতে পারি, তাহলে এই দেশকে আকাশচুম্বী করতে পারবো। জনগণ সবাই একত্রিত হন ও দেশকে গড়ে তুলুন।’

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কক্সবাজারে চকরিয়ায় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর বলেন, ‘তানজিমের নাম দেশের এবং সেনাবাহিনীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ সে মারা গেছে ইউনিফর্ম পরে অপারেশন করতে গিয়ে। এটা একটা দুর্ঘটনার বিষয়। একটা ফুল ফুটতে না ফুটতেই শেষ হয়ে গেলো। এই পরিস্থিতি একটা কথা মনে করিয়ে দেয়, সেটি হচ্ছে আমাদের দেশে এখনও অনেক অরাজকতা বিস্তার করছে। বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনের ফল হচ্ছে এই বর্তমান পরিস্থিতি। ডাকাত বা সন্ত্রাসী আকারে দেশকে যারা অস্থিতিশীল করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ধর্ম, বর্ণ, সব কিছু ভেদাভেদ পেছনে রেখে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ফেল করা যাবে না। এখানে আমাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে, যাতে চিরতরে বাংলাদেশে আর কোনও ফ্যাসিবাদী সরকার না আসতে পারে। সেই চেষ্টাই আমাদের করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেনাবাহিনীকে যদি রাজনীতিমুক্ত এবং ইলেকশন কমিশনকে যদি স্বাধীন করতে পারি, তাহলে কোনও সময় এই দেশে আর ফ্যাসিস্ট সরকার জন্ম নেবে না।’

সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের হত্যার বিষয়ে বলেন, ‘ডাকাত আর সন্ত্রাসী বলেন, একজন সেনাবাহিনীর অফিসারের গায়ে হাত দিয়ে তাকে হত্যা করতে পারে, তাহলে তিনি কত বড় সন্ত্রাসী। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের ঘরের পেছনে সন্ত্রাসী আছে কিনা, তাও কিন্তু আমরা জানি না। আমরা সজাগ হলে ও আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, অটোমেটিক যারা বিপথ্গামী তারা এ পথ ছেড়ে দেবে। আমরা চাই তারা দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসুক। আমাদের সঙ্গে কাজ করুক। হানাহানি করে দেশের লাভ হবে না।’

পরে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের কবর জিয়ারত করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুজ্জামান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সিদ্দিক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাঈদ, মেজর (অব.) সিদ্দিক, মেজর (অব.) মান্নান, জেলা বিএনপি সভাপতি হানানুজ্জামীল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।