শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের  বাসভবন ভাঙচুর ও তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা একযোগে মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খানের দশ তলা বাসভবন ভাঙচুর করে। বাসভবনের পাশে থাকা তার মালিকানাধীন সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, সার্বিক ফুড ভিলেজ, শাজাহান খান সমর্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং সার্বিক গাড়ির কাউন্টার সহ আরও বেশ কয়েকটি স্থাপনে আগুন দেয়। শাজাহান খানের বাসভবনের ঠিক পাশেই মাদারীপুর সদর থানা অবস্থিত হলেও কোনও পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।

 এ ছাড়াও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবন ও তার পারিবারিক মালিকানাধীন হোটেল ভাঙচুর করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে শাজাহান খানের ১০তলা বাসভবন ভাঙচুর করছে। এ সময় তারা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভবনের গ্লাস ভাঙচুর করে। ঠিক ৪টার দিকে সহস্রাধিক জনতা একযোগে সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, সার্বিক ফুড ভিলেজ, সার্বিক হেয়ার কাট সেলুন ভবন, শাজাহান খানের কার্যালয়, সার্বিক গাড়ির কাউন্টার ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, নারী ও পুরুষ একযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তার বাসভবনের সামনে। খুব অল্প দূরত্বে মাদারীপুর সদর থানা থাকলেও এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কাউকেই দেখা যায়নি। মাদারীপুর সরকারি কলেজে অবস্থান করা সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিতে দেখা গেছে। এ সময় ভিডিও করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা সাংবাদিকদের ওপরেও চড়াও হয়।

জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফারজানা নাজনীনের বাসভবন ও কিশোর গ্যাং নেতা নোবেল বেপারীর মালিকানাধীন মোটরসাইকেল শোরুম ও বাড়ি পোড়ানো হয়। এক যুবলীগ নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং পুরাতন কোর্ট মোড়ে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরটিতেও ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক বিক্ষোভকারীকে সিলিং ফ্যান, কম্পিউটারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।

এদিকে বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ অফিস ও বিভিন্ন  ম্যুরাল ভাঙচুর করে তারা।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এ এইচ এম সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।