নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরেক জঙ্গির আত্মসমর্পণ

নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ‌জঙ্গি নুরুল আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৩টায় নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। 

রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর আদালতের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। নুরুল আলম আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলার বাসিন্দা। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে পালানো নুরুল আলম নরসিংদী আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আসে। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করলে তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নয় জঙ্গির মধ্যে পাঁচ জন আইনের আওতায় এলো। বাকি চার জঙ্গিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নরসিংদী কারাগারে আন্দোলনকারীরা হামলা চালায়। ওই সময় কারাভ্যন্তরে পেট্রলবোমা মেরে বন্দিদের থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ভেতরে ঢুকে বন্দিদের অনেকগুলো কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়। কিছু কক্ষের তালা ভেঙে ফেলা হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলে ৮২৬ বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও আট হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।

ওই দিন পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দির মধ্যে ৯ জন ছিল জঙ্গি। তাদের মধ্যে সিটিটিসির হাতে খাদিজা পারভীন ও ইসরাত জাহান, র‌্যাবের হাতে ফারুক আহম্মেদ এবং নরসিংদী জেলা পুলিশের হাতে জুয়েল ভূঁইয়া গ্রেফতার হয়েছে। এখনও পলাতক চার জঙ্গি হলো হিজবুল্লাহ মিয়া, আবদুল্লাহ কামরুল, মো. মহিউদ্দীন ও আবদুল আলীম। এই চার জনও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।