কিশোরগঞ্জে সোহেল হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অটোরিকশাচালক সোহেল ওরফে বদর খন্দকার হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (০৩ জুলাই) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু নাসের সঞ্জু বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো লিটন, রব্বানী, জুয়েল এবং কাজল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় প্রত্যেকে আদালতে উপস্থিত ছিল। বিকালে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তারা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিবরণের বরাতে পিপি আবু নাসের সঞ্জু জানান, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকালে ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড় থেকে সোহেলের অটোরিকশা ভাড়া করে আসামিরা। রাত ৯টার দিকে ভৈরব- কিশোরগঞ্জ সড়কের কালিকাপ্রাসাদ এলাকায় সোহেলকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন সকালে কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর সোহেলের বাবা আব্দুল হান্নান খন্দকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে হত্যায় জড়িত চার জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামিল হোসেন জিয়া। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার মামলার রায় দেন বিচারক।