নরসিংদীতে সাপের কামড়ে ১৪ জন হাসপাতালে

নরসিংদী সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে সাপে কাটা ১৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সাপে কাটা ১৪ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। প্রায় সব রোগী গ্রামগঞ্জের বাসিন্দা এবং কৃষক। এসব রোগীকে যেসব সাপ কামড় দিয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগই নির্বিষ। ১৪ জনের মধ্যে দুজনকে একদিন করে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। বাকিদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়।

এদিকে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্ক। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকদের মধ্যেও। চরের জমিতে ফসল কাটতে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। আতঙ্কের কথা জানিয়ে রায়পুরা উপজেলার খানাবাড়ি এলাকার কৃষক মো. জুয়েল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাপ আতঙ্কে আছি আমরা। ফসলের মাঠে কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছি। এখন পাট কাটার মৌসুম চলছে। সেইসঙ্গে বর্ষাকাল। সাপ আতঙ্কে পাট কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না এলাকায়। পেলেও বাড়তি মজুরি লাগছে।’

তবে কৃষকদের সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নরসিংদীর প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম আছে। আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত আছি।’

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. সুমন বণিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‌‘গত সাত দিনে ১৪ জন সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে সবাই সুস্থ আছেন। তবে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। গামবুট পরে কৃষকরা মাঠে গেলে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। এ ছাড়া কোনও সাপ কামড়ালে সেটির ছবি তুলে রাখতে পারলে চিকিৎসা দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়। এছাড়া বাড়িঘরের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে।’