পানিতে তলিয়ে পন্টুন, ফেরির অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঝড়ে পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৌলতদিয়ার তিনটি ঘাটের মধ্যে একটি বন্ধ রয়েছে। বাকি ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে।

অন্যদিকে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে রবিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তীব্র বাতাসে সোমবার (২৭ মে) সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটের একটি পন্টুনের সামনের অংশ পানিতে তলিয়ে যায় এবং ঘাটটি আপাতত বন্ধ রয়েছে।’

সোমবার বিকাল ৫টার দিকে সরজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নদী পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। দীর্ঘক্ষণ ট্রাকের সিরিয়ালে থাকায় দুর্ভোগে পড়েন চালকেরা।

দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে

কুষ্টিয়া থেকে মিষ্টিকুমড়া নিয়ে ঢাকা কাওরান বাজার যাচ্ছেন ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘রবিবার রাত ৯টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়ি। শুনতে পাই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এদিকে কাঁচামাল নিয়ে ঘাটে আটকা পড়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। কখন যে ফেরি চলাচল শুরু হবে সেটাই ভাবছি।’

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সোমবার রাত ৮টার দিকে বলেন, ‘ছোট-বড় মিলে ১০টি ফেরি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করতো। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দৌলতদিয়া তিনটি ঘাটের মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের সামনের অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। পন্টুনটির উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।’