পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণ

নির্বাচনি পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও তার এক সমর্থককে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোয়ালী ডাক্তার খানার সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খানের অনুসারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সেখানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (১০ মে) বিকাল সোয়া ৪টা থেকে শুরু হওয়া সড়ক অবরোধ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

আর এই অভিযোগের তীর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানুর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জয় ঘোষ নামে একজন শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে আরিচা বোয়ালী ডাক্তারখানা এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম খানের একটি নির্বাচনি ক্যাম্পের চেয়ার ভাঙচুর করেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি। এ সময় রহিম খানের সমর্থক জয় ঘোষকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন। 

মানিকগঞ্জ১

যার বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগ সেই ফাহিম খান রনি জানান, তার বাবার (রেজাউর রহমান জানু) নির্বাচনি পোস্টার ছেড়া নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। কোনও গুলি কিংবা নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর হয়নি।

স্থানীয়রা ঘটনা দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। শিবালয় থানা পুলিশ বলছে, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪মে গভীর রাতে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার তেওতা ষাটঘর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২৭ এপ্রিল রাতে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহিম খানের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ হয়। এ ঘটনায়ও ফাহিম খান রনি ও উপজেলার আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাকিম অনিকের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেন প্রার্থী রহিম খান।