আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের ভোট নিজে প্রয়োগ করার জন্য আসতে হবে। ভয়ভীতি একটা রোগ। আমাকে প্রচুর পরিমাণে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু তো আমি ভয় পাই না। এই রোগে জাতিকে যদি আক্রান্ত করে ফেলে তাহলে তো কিছু করার নেই। আমি জনগণকে বলবো, আপনারা আসেন, সচেতনভাবে ভোটটা দেন। জনগণকে বুঝতে হবে তাদের বন্ধু কে তাদের শত্রু কে।’

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় গাজী সেতুতে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তৈমুর বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকায় আমার ক্যাম্প থেকে গাজীর (নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী) লোকজন ২০টা চেয়ার নিয়ে গেছে। পুলিশকে জানানো হলে তারা ১৪টা চেয়ার উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া আমার ক্যাম্পের লোকজনদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আগামী ৭ তারিখের পরে আমার নেতাকর্মীদের এলাকায় থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। আর পুলিশ সুপার আমাদের সঙ্গে যে ওয়াদা করেছিল, সেই ওয়াদার প্রতিফলন ঘটছে না।’

তৃণমূল বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় দেখলাম জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবে কিনা সংশয়ের মধ্যে আছে। তবে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন করবে। কারণ, এই তৃণমূল বিএনপি একমাত্র বিরোধী দল। জাতীয় পার্টি-১৪ দল এগুলো সরকারি দল। আর বিশ্ববাসীর কাছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা তৃণমূল বিএনপিকে তুলে ধরতে হবে। কারণ, তৃণমূল বিএনপিকে সবাই বিরোধী দল হিসেবে জানে। সুতরাং যত কষ্টই হোক আমরা নির্বাচনি মাঠে থাকবো শত প্রতিকূলতার মধ্যে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীদের মোকাবিলা করে নির্বাচনে থাকবো।’

সরকারের নীতিবাক্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্প করতে দেয় না, নেতাকর্মীদের শাসায় ও হুমকি দেয়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকার শুধু নীতিবাক্য বলে। নীতিবাক্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রতি আমরা আস্থা এনেছি।’