নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে এই প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
প্রতীক পেয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘জনগণকে অনুরোধ করবো ভোটের দিন ঘরে আরাম-আয়েশে বসে না থেকে কেন্দ্রে আসেন এবং ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় দেখলে ভিডিও করবেন। আমাদের সব প্রার্থীকে বলেছি, এমন কিছু হলে ভিডিও করে রাখবেন। যাতে করে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করতে পারি। এসব ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবো, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবো। যদি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো লুটপাটের নির্বাচন হয়, তাহলে মেনে নেবো না।’
দেশের একমাত্র বিরোধী দল হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি উল্লেখ করে তৈমুর আলম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি অনেক রংঢঙের পর সরকারি দলের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। ১৪ দল তো আগেই সরকারের শরিক, একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি, যারা সারা দেশে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’
আমি গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণবিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছি যদি কেউ দেখাতে পারে, তাহলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবো।’
তৃণমূল বিএনপিকে ভোট দেওয়ার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে তৈমুর আলম বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যদি মনে করে, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য ৩০০ আসন এক দলকে দেবে, এটা তারা মনে করতেই পারে। আর যদি জনগণ মনে করে একটা প্রাণবন্ত সংসদ গঠনের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার, তবে জনগণ অবশ্যই তৃণমূল বিএনপিকে ভোট দেবে। কারণ তৃণমূল বিএনপি এখন একমাত্র বিরোধী দল। এটা প্রমাণিত। গতকাল অনেক নাটক করে অন্যান্য বড় দলগুলো সরকারের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। একমাত্র তৃণমূল বিএনপি বলে আসছে, আমরা আমাদের নিজস্ব মার্কা নিয়ে, নিজস্ব অবস্থান থেকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করবো। জনগণ ভোট দেওয়ার মালিক। জনগণ এটা বিবেচনা করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিএনপির অন্য আসনের প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীরা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার। দলটির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিলে মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। শেষ মুহূর্তে দলের সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এই সিদ্ধান্তের কারণে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।