এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটির ৭৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র দুই জন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন পরীক্ষা দিলেও পাস করেছে মাত্র দুই শিক্ষার্থী। বাকি ৭৩ জনই অকৃতকার্য। প্রতিষ্ঠানটির এই ফলাফলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। প্রতিষ্ঠানটিতে গড় পাসের হাড় ২.৬৭ শতাংশ। তবে পাস করা দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এ ফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ ফেলের তালিকায় নাম ওঠেনি কলেজটির। এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এইচএসসির ফলাফল মোটামুটি ভালো ছিল। তবে সরকারি হওয়ার পর থেকে কলেজের ফলাফলের মান অনেক খারাপ। শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান করান না।

জানা গেছে, কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। অধ্যক্ষসহ পাঠদানের জন্য রয়েছেন ২৭ শিক্ষক ও ১৪ জন কর্মচারী। ২০২১ সালে এটি জাতীয়করণ হয়।

এই ফলের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. নবিউল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছি, কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজমল আল বাহার বলেন, আমাদের এলাকা থেকে কলেজ অনেক দূরে। এ জন্য নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা যাতে কম খরচে লেখাপড়া করতে পারে সেই উদ্দেশে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যখন ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা হতো তখন ফল অনেক ভালো ছিল। কলেজটি সরকারি হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম পড়ালেখার মান আরও বাড়বে। কিন্তু পড়ালেখার মান অনেক খারাপ হয়েছে। 
তার দাবি, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সরকারি হওয়ার পর শিক্ষকদের শ্রেণি কক্ষে যাওয়ার পরিমাণও কমেছে। বর্তমানে সরকারি হওয়াতে মনে হচ্ছে শিক্ষাকদের লাগাম ধরার মতো কেউ নেই। এমন চলতে থাকলে এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কলেজটি তদন্ত করার দাবি জানাই।