মানিকগঞ্জে নির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্বর উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি পুকুরের পাশে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুরের চতুর্দিকে ৭১৫ ফুট ওয়াকওয়ে আছে। ১১৪ লম্বা ও ৩৬ ফুট উচ্চতায় লাল-সবুজের পতাকায় ম্যুরাল চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও বাংলাদেশের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাষা-আন্দোলন, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ১৯৫৩ সালের প্রভাত ফেরিতে বঙ্গবন্ধু ও ভাসানী, ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভোট প্রদানের দৃশ্য রয়েছে। এছাড়া ৭ মার্চের ভাষণ যেখানে বঙ্গবন্ধুর মাথার পেছনে পতাকায় লাল রঙ, যেটিকে শিল্পের ভাষায় বোঝানো হয়েছে সূর্যসম শক্তি।
জেলা পরিষদের অর্থায়নে তিন কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরটি নির্মাণ করা হয়। এর স্থপতি শাওন সগীর সাগর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে চত্বরে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর চার বছরের দেশ শাসন, জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক, তারই একাংশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কুশল বিনিময়। এরপর ৭৫ সালের ভয়াল রাতে পুরো পরিবারের ছবি; রক্তাক্ত বঙ্গবন্ধুর ভাঙা চশমা দিয়ে বুঝিয়েছেন শিল্পী। এছাড়া জাতীয় চার নেতার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের দৃশ্য তথা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি অঙ্কন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক বিষয়গুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী।’
মহীউদ্দীন আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর হলো ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। এখানে আসলে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে যে কেউ। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর চত্বরে ঘুরতে আসা জেলা শহরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরটি মনোমুগ্ধকর এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। চত্বর দেখে দেশের ইতিহাস জানতে পারবে সবাই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ।’