ঘাতক জাহাজটিকে খুঁজছে প্রশাসন

নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে ধাক্কা দিয়ে সাবিত আল হাসান লঞ্চটিকে নদীতে ডুবিয়ে দেয় কোস্টার জাহাজ এসকে-৩। দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় জাহাজটি। এ ঘটনায় ২৭টি লাশ উদ্ধারের পর সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ঘাতক জাহাজটির। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, জাহাজটি ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।

রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেয় এসকে–৩ জাহাজটি। প্রায় ২০০ ফুট সামনে টেনে নিয়ে লঞ্চটিকে ডোবায় জাহাজটি। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা অনেকেই লাফিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। তবে ভেতরে আটকা পড়েন বেশকিছু যাত্রী। যাদের মৃত্যু হয় শীতলক্ষ্যার বুকেই।

লঞ্চডুবির পরপরই উদ্ধারে কাজ শুরু করে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। রাতে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। সেই সুযোগে বহুদূর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ঘাতক জাহাজ এসকে–৩। নদী থেকে একে একে লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাত বাড়তেই উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হন কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা।

তবে কোথায় সেই ঘাতক জাহাজ এবং জাহাজ চালক? এ নিয়ে ক্ষোভ নদীর দুই পাড় জুড়ে। নিহত স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছিলেন জাহাজটিকে নিয়ে। তাদের মতে, একটু ধীরগতিতে জাহাজটি চললে আজ এত মানুষের প্রাণহানি হতো না।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘ঘাতক জাহাজটিকে ধরতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে র‍্যাবের হেলিকপ্টার সেই জাহাজটি ধরতে টহল অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি, দ্রুতই জাহাজ ও সেটির চালককে আটক করা সম্ভব হবে। এছাড়া এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’

আরও পড়ুন...

২৭ মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা

শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চে মিললো আরও ১৯ মরদেহ

ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ৫ নারীর লাশ উদ্ধার

শীতলক্ষ্যায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবি