নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক শামীম হাসানের পরিবারের চলছে কান্নার রোল। দুই মেয়ে এক ছেলের বাবা শামীম হাসানের ওপরে নির্ভর ছিল পুরো পরিবার। বাবাকে হারিয়ে দুই মেয়ে বিলাপ করে কাঁদছেন। আর বলছেন, ‘কীভাবে চলবে সংসার ও পড়াশোনার খরচ।’ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আল্লাহ বড় মসজিদে জানাজা শেষে শামীমের লাশ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে চিকিঃসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিস্ফোরণে দগ্ধ ইতি স্টোরের মালিক মোহাম্মদ আলী। তিন ছেলে এক মেয়ের জনক মোহাম্মদ আলীর ওপরে নির্ভর ছিল পুরো পরিবার। উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন পুরো পরিবার।
শামীম হাসানের বাড়ি থেকে মাত্র ৩০ গজ দূরে বাড়ি মোহাম্মদ আলীর। সরোজমিনে তার বাড়িতে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ছোট ছেলে তাজুল ইসলাম কাঁদছেন আর বলছেন, ‘দগ্ধ হওয়ার পর বাবা শুধু একটি কথাই বলছিল আমার হাত বুক বুকের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও। আমাকে হাসপাতালে রেখে একা চলে যেও না। কিন্তু আজ বাবা আমাদের রেখে ঠিকই একা চলে গেছেন পরপারে। আপনার আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের বাবাকে বেহেশতে নসিব করেন।’
নারায়ণগঞ্জ তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জনের দাফন হয়েছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১৩ জন।