মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল আটটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের ফটকগুলোর সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ এ অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
অবরোধের কারণে এ সপ্তাহে টানা তৃতীয় দিনের মতো উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তার কার্যালয়ে যাননি। উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে না পারায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ধর্মঘটের মুখে বেশ কয়েকটি বিভাগে পূর্বনির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলা, ইতিহাস, সরকার ও রাজনীতি বিভাগসহ জীববিজ্ঞান এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের বিভাগগুলোতে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিকাল চারটা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষক নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘একটি সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগের যথাযথ তদন্তের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সদুত্তর আমরা পাইনি। বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে আমাদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’