এর আগে হাইকোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাকে স্থায়ী জামিন দেন। ১৯ জুন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলায় সাবেক এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। পরবর্তী সময়ে এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
এরপর মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে সাবেক এমপি রানা টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান।
দুই যুবলীগ নেতা হত্যা: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরণ মিয়া আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা বলেন, এমপি রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।