আহতরা হলেন— মধু সিটি হাউজিং কোম্পানির কর্মচারী মো. সোহাগ (২৭), মো. হাছান(৩৫), মো. আজাদ হোসেন (৪৫) ও মো. তুষার (২৬) এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আবু সিদ্দিক (৫৫), তার ছেলে মো. সিফাত হোসেন (২৪) ও তার গাড়ির চালক।
হাজী আবু সিদ্দিককে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মধু সিটি অফিসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মধু সিটি অফিসের জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে হাজী আবু সিদ্দিকের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লোক রামদা নিয়ে আমাদের অফিসে জোরপূর্বক ঢুকে অফিস ভাঙচুর করে এবং অফিস স্টাফদের মারধর করে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আমাদের অফিসের চারজন স্টাফ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিদ্দিক গ্রুপের কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট এনামুল হক জানান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আবু সিদ্দিকের ছেলে মো. সিফাত প্রাইভেট নিয়ে বিকালে মধু সিটির অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মধু সিটির অফিসের কর্মচারীরা তার গাড়িতে হামলা চালায় এবং ছেলে সিফাত ও গাড়ির চালককে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে হাজী আবু সিদ্দিক মধু সিটির অফিসে গেলে অফিসের কর্মচারীরা তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মধুসিটির কর্মচারীদের সঙ্গে হাজী আবু সিদ্দিকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’