চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কের আতুরার ডিপো এলাকার তিন রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ দুই নারী হলেন- লায়লা বেগম (৫০) ও ঝর্ণা বেগম (৩০)। তারা রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আহতদের প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আহতরা চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন।
তাদের বহনকারী অটোরিকশাচালক মো. জনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ হুজুরের মাজারে যাচ্ছিলেন যাত্রী নিয়ে। আতুরার ডিপো পেট্রোলপাম্প পার হওয়ার সময় তার গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। বোমাটি পেছনের সিটে গিয়ে পড়ে। তার সিএনজিতে তিন জন নারী, দুজন পুরুষ ও এক শিশু ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন আহত হন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোরে দগ্ধ দুই নারীকে চমেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. এস খালেদ জানান, আহত লায়লা বেগমের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এ কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝর্ণাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।