খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পার্বত্য উপদেষ্টা

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। তাদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত তাদের উদ্ধার করা যাবে।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী মারি স্টেডিয়ামে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

গত ১৬ এপ্রিল সকালে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশাযোগে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল জায়গায় তাদের গাড়ি আটকানো হয়। এ সময় টমটম গাড়ির চালকসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে চালককে ছেড়ে দিলেও পাঁচ জন শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

শনিবার সাংগ্রাই উৎসবে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংগ্রাই উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রতি বজায় থাকবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলতে কিছু নেই। নেই কোনও বৈষম্য। ভবিষ্যতে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। উন্নয়ন সবার জন্য করতে হবে। কারণ আমরা সবাই বাংলাদেশি।’

সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি থোয়াই সুই খই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালির অ্যাম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসেডর, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ও পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন।