বিয়ের কথা বলে ফেনীতে এনে থাইল্যান্ডের এক নারীকে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার মোখসুদুর ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়া বাড়ির আব্দুর রবের ছেলে। সোমবার বিকালে তাকে ওই ইউনিয়নের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শন ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সোমবার ওই নারী বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে মোখসুদুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, থাইল্যান্ডের নাগরিক ওই নারী ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ে একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। সেখানেই মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরে মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য দুই লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরপর ভিসা জটিলতায় মোখসুদুর গ্রেফতার হয়ে হংকংয়ের কারাগারে গেলে ওই নারী তাকে ছাড়িয়ে আনেন। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে আসলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। মোখসুদুর তাকে স্ত্রী হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। বিয়ের কথা বলা হলে গত বছরের ২২ মার্চ তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একই কথা বলে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।
সবশেষ ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন মোখসুদুর। ওই ফোনে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে মামলার এজহারের উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘অভিযুক্ত মোখসুদুরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।’