লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জসিম উদ্দিন ব্যাপারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। এর আগে একই সংঘর্ষে মো. সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৪৫) নামের এক স্পেনপ্রবাসীর মৃত্যু হয়েছিল।

গত ৭ এপ্রিল উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। নিহত জসিম উদ্দিন ব্যাপারী (৩৮) উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ফজলুল করিম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ছিলেন এবং ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন। আর সাইজুদ্দিন ছিলেন শামীম গাজীর অনুসারী ও বিএনপির কর্মী।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্যসচিব শামীম গাজী। গত সোমবার বিকালে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা খাসেরহাট ও বাবুরহাটে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ চলাকালে আটটি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইজুদ্দিনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় জসিম উদ্দিনসহ তিন জনকে। এর মধ্যে জসিমের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুজনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল।

সাইজুদ্দিন নিহতের ঘটনার তিন দিন পর গত বুধবার রাতে নিহতের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে ফারুক কবিরাজকে প্রধান আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ফারুকের ছোট ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‌‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছিল। সংঘর্ষে এ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’