ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন কসবা উপজেলার পুটিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের নোয়াবাড়ীর সুলতান আহমেদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছেন বিজিবি সদস্যরা।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুটিয়া সীমান্তের ওপারে গরু আনতে যায় পুটিয়া দক্ষিণপাড়ার নোয়াবাড়ীর যুবক আল আমিন। এ সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। তাৎক্ষণিক আল আমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বিএসএফ সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ত্রিপুরার বিশালঘর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এদিকে আল আমিনের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
বাবা সুলতান আহমেদ ও মা মিনুয়ারা বেগম বলেন, গরু আনতে গিয়ে এভাবে আমার বুকের ধনকে বিএসএফ হত্যা করবে তা ভাবিনি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। দ্রুত লাশ দেশের মাটিতে ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে বিএসএফর গুলিতে নিহতের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামবাসী ঘটনাটিকে নির্মম হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে এর বিচার দাবি করেন।
গ্রামের বাসিন্দা শামিম মিয়া ও মনির হোসেন বলেন, এমন হত্যাকাণ্ড আমরা চাইনা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের লাশ দেশের মাটিতে ফেরত আনার বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজিবির সদস্যরা। তবে কখন কোন সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারছেন না বিজিবি সদস্যরা।
এর আগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল একই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মেহেদী হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়। একই বছরের ২৫ নভেম্বর বিকালে রুকন উদ্দিন (৩৫) ও জাকির হোসেন (৩০) নামের দুই যুবককে গুলি করে বিএসএফ। এতে তাদের মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।