চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিবচতুর্দশী মেলায় দুই তীর্থযাত্রীর মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে শিবচতুর্দশীর মেলায় তীর্থে আসা দুজন পুণ্যার্থী ভিড়ের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে একজনের নাম বান্টু (৫০)। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন মেলার আয়োজকরা। মারা যাওয়া আরেকজন নারী। তার বয়স ৫০ বছর। তবে নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি আয়োজকরা। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। তিন দিনব্যাপী এই মেলার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। এবার দেশ-বিদেশ থেকে অন্তত কয়েক লাখ তীর্থযাত্রী এসেছেন।

শিবচতুর্দশীর মেলা আয়োজক কমিটি জানায়, তিন দিনের শিবচতুর্দশী মেলার আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। এবার মেলার প্রথম দিনে তীর্থযাত্রী তুলনামূলক কম এলেও দ্বিতীয় দিনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পাহাড়ি পথে পা ফেলার জায়গা ছিল না। চন্দ্রনাথ মন্দিরের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ ফুট ওপরে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায়। ভূমি থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত পৌঁছাতে আঁকাবাঁকা দুর্গম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করতে হয় পুণ্যার্থীদের। অনেক পুণ্যার্থী ওই পথে উঠতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে দুজনের মৃত্যু হয়।

শিবচতুর্দশীর মেলার আয়োজক কমিটির নেতা ও সীতাকুণ্ড স্রাইন (মন্দির) কমিটির সহ-সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী সৌমিত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে শিবচতুর্দশী মেলা শুরু হয়েছে। এতে লাখ লাখ তীর্থযাত্রীর মিলনমেলা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে দুজন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে তারা স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে ধারণা করছি। এর মধ্যে একজন নারী এবং আরেকজন পুরুষ। তাদের একজনের নাম বান্টু বলে জেনেছি। তার বাড়ি চকরিয়ায়। মারা যাওয়া অপর নারীর পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় মন্দিরে প্রবেশের জন্য অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষমান থাকতে হচ্ছে। তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে সবাইকে। এর মধ্যে আজ প্রচণ্ড গরম ছিল। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দুই তীর্থযাত্রী স্ট্রোক করে মারা যান।’ 

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে স্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এখনও তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি। তবে মারা যাওয়া পুণ্যার্থীদের একজন নারী ও আরেকজন পুরুষ।’