বর্ষার আগেই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দৃশ্যমান হবে: মেয়র

আসন্ন বর্ষার আগেই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) নগরের টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল, পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জলাবদ্ধতাবিষয়ক সমন্বয় সভায় মেয়র এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে  স্ব-স্ব অঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করবেন। প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে ২০ জন করে শ্রমিক দিয়ে ১২০ জনের ছয়টি বিশেষ টিম করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা এই টিমগুলোকে কাজে লাগিয়ে এলাকার সার্ভিস ড্রেনগুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবেন। প্রতিদিন এই টিমটি কাজ করছে কি না, করলে কোথায় করছে, কী করছে তা ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করবেন।’

জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সাইনবোর্ড স্থাপনের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে বিভিন্ন খাল-নালা ইত্যাদির পাশে জনসচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে। এ জন্য আপনারা যথোপযুক্ত এলাকার তালিকা প্রদান করবেন। যেহেতু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা  নিরসন প্রকল্প সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে, ওনাদের সাথে সভা করেন। জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গেও একযোগে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা যায় কি না সে বিষয়ে সভা করে যৌথ সিদ্ধান্ত নিন। যে সমস্ত জায়গায় এস্কেভেটর ব্যবহার প্রয়োজন সেখানে ব্যবহার করুন, আর যেসব জায়গায় ম্যানুয়ালি খনন প্রয়োজন সেখানে শ্রমিক ব্যবহার করুন। পরিচ্ছন্নতা শ্রমিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।’

মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘চট্টগ্রামের অনেক সমস্যা আছে, অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে বৃষ্টি বেশি হলে মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় থাকে। জলমগ্ন থাকে শহর। চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া। খালের সীমানার ভেতরে অবৈধ ভবন নির্মাণ করায় এটির প্রশস্ততা কমে বৃষ্টি ও বন্যার পানি অপসারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। পরিকল্পিতভাবে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ এবং খাল সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেমসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।