জাতি হিসেবে আবার অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু করতে হবে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘মানুষরূপী কিছু পশু ২০১৮ সালে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বড় ধরনের অপকর্ম করেছে। দেশটাকে একটি জাহান্নাম বানিয়ে রাখার কারণে সেদিন মানুষ মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে পারেনি। আমরাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে পারিনি, পাশে এসে দাঁড়াতে পারিনি। এই চিত্র বাংলাদেশে কমবেশি থাকলেও এত নিকৃষ্ট মানের উদাহরণ বাংলাদেশে খুব কম আছে।’

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার কারণে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার চার সন্তানের জননীর পরিবারের খোঁজ নেওয়ার পর সেখানে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘জাতি হিসেবে আবার অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু করতে হবে। এ লড়াই হচ্ছে মর্যাদার লড়াই। মানুষ হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার ও নিরাপত্তার লড়াই। সেই লড়াইয়ে যদি আমরা বিজয়ী হই তাহলে বাংলাদেশের জনগণকে একটি মানবিক বাংলাদেশ উপহার দেবো।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তার মান-ইজ্জতের যে ক্ষতি হয়েছে, আল্লাহ তাকে তা পুষিয়ে দিক। একজন বোনের সম্মানের মূল্য আমাদের জীবনের চেয়ে বেশি।’

সুবর্ণচর উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, মাওলানা আলা উদ্দিন, মাওলানা শামছুদ্দিন, ফেনী জেলা আমির মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, নোয়াখালী জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক শেখ সাহাব উদ্দিন, সুবর্ণচর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা জামাল উল্লাহ মুকুল প্রমুখ।