আগুনে তিন রিসোর্টে ক্ষতি প্রায় ৬ কোটি, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পর্যটকদের

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ইকো রিসোর্ট পুড়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রিসোর্ট মালিকদের বরাত দিয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা অজিত কুমার দাস বলেন, সেন্টমার্টিনে আগুনে তিন রিসোর্টের প্রায় ৩৮টি কক্ষ পুড়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। রিসোর্টগুলো খুব সুন্দর এবং উন্নত মানের ছিল।

তিনি আরও বলেন, রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ছয় কোটি টাকায় ক্ষতি হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ ছাড়া পুড়ে যাওয়া রিসোর্টে থাকা পর্যটকদের অন্য হোটেলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দাউ দাউ করে জ্বলে আগুন

এদিকে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শায়রী, বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুড়ে যায়।

পুড়ে যাওয়া কিংশুক রিসোর্টের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বাবর বলেন, ‘হঠাৎ করে রাতে আগুন দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমরা রিসোর্টে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নিই। ততক্ষণে আমাদের রিসোর্টের ১৫টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কাঠ, বাঁশ এবং ছাউনি দিয়ে তৈরি ছিল আমাদের রিসোর্টটি। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেড় কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া আমাদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে।’

রিসোর্ট বিচ ভ্যালির মালিক মো. সরোয়ার কামাল বলেন, ‘আগুন আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। পুরো রিসোর্টটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। আমাদের ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা কী করবো?’

সেন্টমার্টিন দ্বীপে নেই কোনও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপে বিভিন্ন কারণে ব্যবসায়ীরা খুব বিপদের মধ্যে রয়েছেন। তার ওপর আগুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের একটা টিম সেখানে পৌঁছেছে। তারা আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে। আর ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

আরও পড়ুন:

গভীর রাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই তিন রিসোর্ট