ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতা কারাগারে

নোয়াখালীর হাতিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমান নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১০টায় হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড গুল্লাখালী গ্রামে এ ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান (৩৭) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুল্লাখালী গ্রামের মৃত ছালেহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গুল্লাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি হিসেবে কর্মরত।

ভুক্তভোগী জানান, সোমবার তিনি তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে তার বাবা-মা পাশের অন্য একটি ঘরে ঘুমান। তিনি এক সন্তানসহ এক ঘরে ঘুমান। গভীর রাতে অভিযুক্ত মিজান কৌশলে ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মিজানকে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরে সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

গুল্লাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি।’

হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মিজানের বিরুদ্ধে এর আগেও একটি অভিযোগ এসেছে। তার বেতন-ভাতা গত দুই মাস বন্ধ আছে। আজকের যে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা, সেটার বিষয়ে মামলার নথি পেলে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি মিজানকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’