নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এর আগে, গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক দুজন হলেন- হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমার স্বামী চট্টগ্রামের কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে আমি, আমার মেয়ে (১৭) ও দেবর (২১) থাকি। আমাদের বাড়ির আশপাশে তেমন বাড়িঘর নেই। গত রবিবার রাত ১১টার দিকে ছয় যুবক আমার বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আমার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার মেয়ে ও আমাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকাপয়সাসহ জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা (ধর্ষক)। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে শনিবার বিকালে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করি।’
চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাৎ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়। পরে ভুক্তভোগীসহ আসামিদের নদীপথে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’