এইচএসসিতে পাসের দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে আজও জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন ফেল করা শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর থাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের তালা লাগাতেও দেওয়া হয়নি।
আজ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল। এদিকে, ফেল করা শিক্ষার্থীদের দ্বারা কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আজ দুপুরে বোর্ডের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘বারবার শিক্ষার্থীরা এসে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করছে। অনেক কর্মচারীকে হেনস্তা করেছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করছি, আপনাদের ছেলেমেয়েদের বোঝান। তাদের ঘরে নিয়ে যান। আমি বারবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা তাদের অযৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে (শিক্ষা বোর্ড) অনেক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যেও অনেক দুষ্কৃতকারী থাকতে পারে। তারা এ আন্দোলনকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন। আজ শিক্ষার্থীদের প্রধান ফটক থেকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুই দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের তাড়িয়ে দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বোর্ডের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ছয় হাজার ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৪১৬ জন। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেল করার জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিকে দোষারোপ করছেন শিক্ষার্থীরা।