রাঙামাটিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন

‘ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো’

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভেঙে দিলে কিংবা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করলে গ্রামীণ পর্যায়ে সরকারি সেবা ব্যাহত হতে পারে জানিয়ে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় জেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ না করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি হল রুমে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের রাঙামাটি শাখার সভাপতি তরুন জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, ‘ইউনিয়র পরিষদ হলো দেশের সব থেকে নিম্ন স্তরের এবং সব থেকে শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো। যেখানে প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সেবা গ্রহণ করে থাকেন। এসব সেবা বিকল্প কারও মাধ্যমে প্রদান করা সম্ভব নয়। সারা দেশের থেকে পার্বত্য অঞ্চলের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এই দুর্গম অঞ্চলের মানুষ আমাদের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করেন। যা প্রশাসক দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে কিংবা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করলে প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি সেবা ব্যাহত হতে পারে।’

তরুন জ্যোতি চাকমা আরও বলেন, ‘রাঙামাটির ৫০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৫টির অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে সব চেয়ারম্যান ও মেম্বার পরিষদে উপস্থিত থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যা বর্তমার প্রেক্ষাপটে আমাদের জনসম্পৃক্ততার অনন্য দৃষ্টান্ত। তারপরও যদি সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো আমরা।’

সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটির ৫০ ইউনিয়নের প্রায় ছয় শতাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।