পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা

কোটা পুনর্বহাল না হলে পাহাড়ের মানুষ সমতলের তুলনায় পিছিয়ে যাবে

রাঙামাটিতে সকল সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ব্যানারে জিমনেশিয়াম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

৬২তম শিক্ষা দিবসের সমাবেশে কোটা পুনর্বহাল ছাড়াও পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন এবং মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালুর দাবি জানানো হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা বলেন, ‘আমরা দেখেছি যার টাকা আছে সে উন্নত শিক্ষা নিতে পারে। আর যার টাকা নাই সে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। সারা দেশের তুলনায় পাহাড়ে শিক্ষাব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ। দুর্গম এলাকায় অনেক শিক্ষক ঠিকমতো থাকেন না। অনেক বিদ্যালয়ে বর্গাশিক্ষক রাখার অভিযোগও পাওয়া যায়। এই শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।’

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের পিছিয়ে রাখার জন্য সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা থাকলেও সংস্কারের নামে পরে তা ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কেন আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলো? আমাদের আগের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। না হলে পাহাড়ের মানুষ সমতলের মানুষের তুলনায় আরও পিছিয়ে যাবে। পাহাড় পিছিয়ে থাকলে দেশ কখনও এগিয়ে যাতে পারে না।’

এ সময় চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলায় পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের দাবিও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মরম্রি মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মারমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক উলিচিং মারমা প্রমুখ।