উদয়ন এক্সপ্রেসে ধর্ষণকাণ্ডে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মী গ্রেফতার

সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. রাসেল। তাকে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতাররা সবাই ওই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদয়ন ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার (২৬ জুন) রেলওয়ে থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নিজেই। এ ঘটনায় এদিন তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ ভোরে বাকি এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় উদয়ন ট্রেনের গার্ড আবদুর রহিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ওই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। উদয়ন এক্সপ্রেসের পাশাপাশি পাহাড়িকা এক্সপ্রেসেও প্রতিষ্ঠানটির খাবার সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুটি ট্রেনে খাবার সরবরাহ করে আসছিল এস এ করপোরেশন।’

বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উদয়ন ট্রেনের খাবার বগিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছে বুধবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে।

এ ঘটনায় বুধবার গ্রেফতার খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মী হলেন জামাল (২৯), শরীফ (২২) ও রাশেদুল ইসলাম (২৮)। 

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তাকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তার বাড়ি বান্দরবানে। বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।

আরও পড়ুন: