গেলো সপ্তাহের ভারী বর্ষণ যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে রাঙামাটির পাঁচ উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য। বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ আড়াই মাস পর শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাঙামাটির রিজার্ভবাজার লঞ্চঘাট থেকে লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি এবং তবলছড়ি ঘাট থকে বিলাইছড়িতে লঞ্চ চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগ কমেছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এই ৫ উপজেলার চার লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই নৌপথ। এই রুটে প্রায় ১৫টি লঞ্চ চলাচল করে।
লংগদু রুটের যাত্রী মো. কাউসার জানান, হ্রদে পানি যখন কম ছিল তখন চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো ছোট বোটে। আবার হ্রদে ঝড় হলে এই বোটগুলো ডুবে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। চলাচল করতে হতো মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে। হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন লঞ্চ চলছে। এতে অনেকটাই দুর্ভোগ কমেছে যাত্রীদের।
বরকল রুটের যাত্রী কমল চাকমা বলেন, ‘যখন পানি ছিল না তখন ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে প্রায় ৪ ঘণ্টা লাগতো। আর পণ্য পরিবহণ ছিল বেশ ঝামেলার। যেখানে পণ্য নিতে ১০ টাকা পরিবহন ব্যয় হতো সেখানে ৫০ টাকাও লেগেছে। এর ফলে জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে বরকল উপজেলায়। এখন পানি বাড়ায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কিছুটা সহজ হবে।’
লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লঞ্চমালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম। তিনি জানান, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যেসব উপজেলায় চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে সেসব উপজেলাগুলোতে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। পানি কম থাকায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় লঞ্চ যাচ্ছে না। তবে পানি বৃদ্ধি পেলে লঞ্চ চলাচল করবে।
তিনি আরও জানান, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় চার মাসের বেশি সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে। এই সময় লঞ্চের শ্রমিক ও যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রতিবছর এই সময় আসলে হ্রদ ড্রেজিংয়ের কথা উঠলেও এর সুফল পায় না রাঙামাটিবাসী।