অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লার চান্দিনায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি, তাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার স্বামী ওই যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া (৩৫) বাড়েরা ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।  

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামের আক্কাস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৫ জুন) সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে বুধবার সকালে গড়ামারা গ্রামে গিয়ে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে সেই এলাকা খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। তারপরও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কেউ কিছুই নাকি জানেন না। তবে তার (তানভীর) বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে রাবেয়া নামে এক স্থানীয় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জানান, রাত ২টায় তানভীর তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার স্বামীর সঙ্গে তানভীরের ধস্তাধস্তি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। তার স্বামী তানভীরকে আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারী যা বলছেন তা মোটেও সত্য না। সেলিম আমার ছেলেকে পূর্বেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আগের বিরোধ নিয়ে সে আমার ছেলেকে মেরেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলটি ঘনবসতিপূর্ণ। ওই বাড়িতে কোনও উঠান নেই। বাড়ির বা পাশের মানুষজন ঘটনাটি জানবে না, সেটা হতে পারে না। স্থানীয় কেউ ঘটনার ব্যাপারে মুখ খুলছে না।’

চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন দত্ত বলেন, ‘নিহত তানভীরের শরীরে আঘাত ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে। তবে হত্যার কারণ জানতে পারিনি। এ বিষয়ে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।’