লকার থেকে স্বর্ণ গায়েব: ইসলামী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার গায়েবের ঘটনায় চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী রোকেয়া আক্তার বারী (৬৩) বাদী হয়ে সোমবার (৩ জুন) রাতে এ অভিযোগ দিয়েছেন। 

এতে ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। থানা পুলিশ বাদীর অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করেছে। মামলার বাদী রোকেয়া আক্তার বারী নগরীর চকবাজার থানাধীন হিলভিউ সোসাইটির বিটিআই বেভার্লি হিলস এলাকার মৃত ডা. এম এম বারীর স্ত্রী।

অভিযুক্তরা হলেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিব উল্লাহ, চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুস।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখা থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরি হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। তবে অভিযোগপত্রের সব আসামি ব্যাংক কর্মকর্তা। এই অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত। এ কারণে বাদীর অভিযোগ থানায় জিডি হিসেবে গ্রহণ করে দুদকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ 

অভিযোগপত্রে রোকেয়া আক্তার বারী উল্লেখ করেন, ২০০৬ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় আমি ও আমার মেয়ে নাসরিন মারজুকা যৌথভাবে একটি লকার ব্যবহার করে আসছি। লকার নম্বর-৪৪ এবং চাবি নম্বর ৩। লকারে আমার ও আমার মেয়েসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। গত ২৯ মে দুপুর দেড়টায় আমার কিছু স্বর্ণালঙ্কার আনার জন্য ব্যাংকে যাই। লকারের দায়িত্বরত অফিসার ইউনুসকে আমার লকার খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তিনি লকার কক্ষের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক অফিসার আমার নামে বরাদ্দকৃত লকারটি খোলা দেখতে পান। আমাকে বললে আমি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ি। লকারে রক্ষিত ১৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে ১৪৯ ভরি চুরি হয়ে যায়। লকারে মাত্র ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে আছে হাতের চুড়ি ৪০ পিস ৬০ ভরি, জরোয়া সেট চারটি ২৫ ভরি, গলার সেট একটি ১০ ভরি, গলার চেইন সাত পিস ২৮ ভরি, আংটি ২৫ পিস ১৫ ভরি এবং কানের দুল ৩০ জোড়া ১১ ভরি।