ভোট নিয়ে আল্লাহর কাছেই বিচার দিলেন আ.লীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনি মাঠ সমান্তরাল নয় বলে দাবি করেছেন এই উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। রবিবার (২ জুন) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

সেখানে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নাম না বললেও অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমি আশাবাদী। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারণাকালে লক্ষ্য করা গেছে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এবং নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রদান, ভোটকেন্দ্রে নৈরাজ্য চালিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।’

‘ভোটের মাঠ সমান্তরাল আমার কাছে মনে হয়নি। নির্বাচনি এলাকার শতাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করছি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নিরাপদে ভোট প্রদানের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নির্বাচন পরিচালনায় সব মহলের যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবি জানাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হলে এই নির্বাচনে আমি জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।’

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন মাঠ সমান্তরাল নয়। আমার সমর্থকদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তবে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আমি জানি না। আমার নির্বাচন নিয়ে আল্লাহর কাছেই আমি বিচারের ভার দিলাম।’

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাশে না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বন্ধুরা কেন আমার পাশে নেই, সেটা তারাই ভালো জানেন। আমি তাদেরকে বারবার পাশে টানার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আসেননি। আমি সর্বশেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবো এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে নির্বাচন করবো।’

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে এবং উপজেলাবাসীর মতামত ও পরামর্শে উন্নত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা গঠনে নিবেদিত থাকবো।’

উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীরা তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।