প্রতীক জটিলতায় স্থগিত হওয়া সেই ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় প্রতীক জটিলতায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার (২৬ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (মেম্বার) পদে ১৩ ও সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এদিন সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান যে ব্যালট পেপারে তার প্রতীক সিএনজিচালিত অটোরিকশার বদলে প্যাডেলচালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরপরই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৬ মে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জাজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে নারী ভোটার সনি আক্তার বলেন, ‘এর আগেও চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়েছি। প্রতীক ভুলের কারণে আজ আবারও ভোট হচ্ছে। আমরা দেখেশুনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।’

একই কেন্দ্রের পুরুষ ভোটার দুলন মিয়া জানান, দেখেশুনে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের পরিবেশ বেশ ভালো জানিয়েছেন তিনি।

জাজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আগের প্রতীক ঠিক রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেবল প্যাডেলচালিত রিকশার জায়গায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া আর কিছু পরিবর্তন হয়নি।

উল্লেখ্য, কুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন।