বৃষ্টিতে ভোটার উপস্থিতি কম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯ উপজেলায় একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধাপে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৬১টি কেন্দ্রে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬০৯ জন নারী ভোটার, এক লাখ ১৯ হাজার ৫৭৮ জন পুরুষ ভোটার ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারসহ মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ২৩টিকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন ও ভোট-পরবর্তী সহিংসতা রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও আনারস প্রতীকে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকে আব্দুল্লাহ আল মামুন জাবেদ, টিউবওয়েল প্রতীকে মো. ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী, মাইক প্রতীকে মো. রফিক উল্যাহ ও চশমা প্রতীকে মো. ফয়সাল আহমেদ আকাশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে সালমা সুলতানা, কলস প্রতীকে বিবি ফাতেমা, ফুটবল প্রতীকে মুন্নি আহমেদ ও প্রজাপতি প্রতীকে আলেয়া বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বুধবার সকাল ৯টায় সরেজমিনে সুবর্ণচরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা নেই। সকাল ৮টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুয়েকজন করে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আবার কেন্দ্র ত্যাগ করছেন। কোনও কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

নোয়াখালীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম জানান, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের একদিন আগেই যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি  রয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।