এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক দুবাই পৌঁছাবেন আজ

মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবেন। সেখানে জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।

তিনি বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ বর্তমানে যে গতিতে এগোচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং জাহাজটির জেনারেল স্কোয়াড মোহাম্মদ নুর উদ্দিন দুবাইয়ে নেমে যাবেন। তারা বিমানযোগে দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসবেন। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন জাহাজে করে। তারা সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবেন।’

এর আগে, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সোমালিয়ার সময় রাত ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পায়। এরপরই জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। দীর্ঘ এক মাস নাবিকেরা দস্যুদের কাছে জিম্মি ছিলেন।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এস আর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি।

এস আর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এস আর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম রাখা হয় এমভি আবদুল্লাহ।