নোয়াখালীতে খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলার পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো হাতিয়া উপজেলার হরণি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড নবীপুর গ্রামের জাকের হোসেনের মেয়ে আছিয়া আক্তার (৪), একই বাড়ির মো. সোহেলের ছেলে মুনতাহা (২) ও সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের আকবর হোসেনের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (২)।

নিহত আছিয়া ও মুনতাহার স্বজন আরাফাত হোসেন জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে শিশু আছিয়া ছিল সবার ছোট এবং প্রবাসী সোহেলের একমাত্র কন্যা মুনতাহা। প্রতিদিন বাড়ির শিশুদের সঙ্গে আঙিনায় খেলাধুলা করতো তারা। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় পরিবার ও বাড়ির লোকজনের অজান্তে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় তারা দুই জন। বেলা ১১টার দিকে বাড়ির লোকজন পুকুর ঘাটে গেলে তাদের দুই জনকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে চরজব্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে সুবর্ণচরে নিহত শিশু মুজাহিদের মামা আরিফ হোসেন বলেন, ‘মুজাহিদুল ইসলাম আমার বোনের একমাত্র সন্তান। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে ঘরের বাইরে খেলাধুলা করছিল সে। তার মাসহ পরিবারের সবাই ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিল। এর মধ্যে কোনও একসময় সে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। দীর্ঘসময় ধরে তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। পরে মুজাহিদকে উদ্ধার করে চরজব্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।’

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানিতে ডুবে সুবর্ণচরে এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে পরিবারের কেউ এ বিষয়ে থানায় লিখিতভাবে জানাননি।’ হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় হওয়ায় থানায় কেউ জানাননি।’