সুবর্ণচরে মা-মেয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘরের সিঁধ কেটে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী (৩০) বাদী হয়ে মুন্সি মেম্বারকে প্রধান আসামি, একজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার কাদির হানিফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন। তিনি বলেন, ‘তাকে সদর থেকে চরজব্বার থানায় আনা হবে। পরে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।’

এদিকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী।

তিনি জানান, সভাপতি ব্যক্তিগত কাজের দেশের বাইরে রয়েছেন। সংগঠনের অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেহেতু মুন্সি মেম্বার নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেহেতু তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত এটা কার্যকর করা হবে।

মামলার বাদীর অভিযোগ, রাতে ঘরে হঠাৎ আলো জ্বলে উঠলে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ‘কে কে’ বলে উঠলে তার মুখ চেপে ধরে ওড়না দিয়ে মুখ, হাত-পা বেঁধে খাটের নিচে নামিয়ে ফেলে মুন্সি মেম্বার ও তার এক সহযোগী। পরে তারা পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় অপর একজন পাশের কক্ষে গিয়ে তার বড় মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর তারা চলে যাওয়ার সময় স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং বলে, ‘তোর মেয়ের বাঁধন খুলে দিছি।’ পরে মেয়ে এসে তার হাতের বাঁধন খুলে দেয়।

আরও পড়ুন-

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ