বিচারপতির গাড়িতে তেল কম দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে পরিমাপে তেল কম দেওয়ায় ‘আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযোগ রয়েছে ওই ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নেওয়ার পর পরিমাপে কম ছিল বলে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রেজাউল হাসান।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে দীঘিরজান এলাকার ওই ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার আহসান হাফিজ। অভিযানে সহযোগিতা করেন বিএসটিআইয়ের কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পূজন কর্মকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি রেজাউল হাসান জেলা প্রশাসককে ফিলিং স্টেশনের অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদারকি করতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ জানান, অভিযানকালে বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত পরিমাপযন্ত্রে প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ৪৮০ মিলিমিটার কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। যা প্রতি লিটারে ৪৮ মিলিমিটার হয় এবং ২০ ভাগের এক ভাগ তেল কম দিচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া তাদের মেশিনটির ডিসপ্লে নষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিসপেন্সিং ইউনিট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন ডিসপ্লে প্রতিস্থাপন ও মেশিন ক্যালিব্রেশন করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিসপেন্সিং ইউনিট পুনরায় চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রেজাউল হাসানের গাড়িতে তেল দেওয়াসহ ওই পাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।