খেলার সময়ে ঝগড়ার জেরে শিশু ফিহাকে হত্যা, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

নোয়াখালীর চাটখিলে শিশু ফিহা আক্তার (৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমান সেন্টু (৩০) ও তার পিতা আব্দুস সাত্তার (৭০)। 

নিহত ফিহা আক্তার একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল। 

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর বিকালে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একই দিন রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের তথ্যমতে, পুলিশ ওই বাড়ির পুকুর পাড় থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। 

পুলিশ জানায়, প্রায় ১৫ দিন আগে মিজানুর রহমান সেন্টুর মেয়ে তানহার সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় ঝগড়া ও মারামারি হয় নিহত ফিহার। ঝগড়ার জের ধরে সেন্টু ফিহাকে তার বাড়িতে মারতে যায়। তখন ফিহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত্ত করে। এরপর গত রবিবার বিকালের দিকে বাড়ির পাশে জমিতে বাবাকে খোঁজ করতে ঘর থেকে বের হয় ফিহা। ওই সময় জমির পাশে বসা ছিল সেন্টু। পরবর্তী সময়ে তার বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফিহাকে ডেকে নেয় সেন্টু। একপর্যায়ে সে ফিহাকে নির্মমভাবে প্রহার করে। এতে শিশু ফিহা মারা যায়।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শিশুটির মাথার এক পাশে জখমের চিহ্ন ছিল। চোখের ডান পাশে এবং কান ও চোখের মাঝামাঝি জায়গায় গভীর কাটা জখম ছিল। এ ঘটনায় ফিহার বাবা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’