নোয়াখালীতে শান্তি সমাবেশে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ছমিরমুন্সিরহাট বাজারে সমাবেশ চলাকালে অতিথিদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাননি দলীয় নেতারা।

দলীয় নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ছমিরমুন্সিরহাট বাজারে শান্তি এবং উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় সমাবেশ। দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে মূল মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্যের সামনে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের। এ সময় মঞ্চের নেতারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমরিুল ইসলাম মোহনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহাগের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির প্রমুখ।

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক বলেন, ‘মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এছাড়া সুন্দরভাবে আমাদের সমাবেশ শেষ হয়েছে।’

সেনবাগ থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে সমাবেশে আসা কিছু নেতাকর্মী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। পরে দলীয় নেতারা তাদের শান্ত করেছেন। বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’